ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। ৮২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রবীণ শিল্পী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শনিবার সকালে প্রয়াত হলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তার অসামান্য সৃষ্টি বাংলার সংগীত জগতে চিরকাল অমলিন থাকবে।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের। তার বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষক। দেশভাগের পর তার পরিবার চুঁচুড়ায় বসবাস শুরু করে। শৈশব থেকেই কবিতায় সুর বসানোর প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করেন তিনি। যদিও তিনি কোনো প্রথাগত সংগীত শিক্ষা নেননি, তবু নিজের আবেগ ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সুর ও কথার মেলবন্ধন গড়ে তুলেছিলেন।

সংগীত জগতে তার প্রবেশ ঘটে ১৯৮৮ সালে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ অ্যালবামের মাধ্যমে, যা একক নয় বরং অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’, যেখানে সংকলিত ছিল তার অপ্রকাশিত গানগুলো।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি বাংলা গানের ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ হয়ে থাকবে। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলা ও বাঙালির আবেগের প্রতিচ্ছবি হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’-এর মতো বহু গান শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় নিজের গানে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার পক্ষে ছিলেন। তার কণ্ঠের অনন্য আবেগময়তা এবং সুরেলা পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। তাঁর প্রয়াণ বাংলা সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি, তবে তাঁর গান চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের

প্রকাশিত ১১:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। ৮২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রবীণ শিল্পী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শনিবার সকালে প্রয়াত হলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তার অসামান্য সৃষ্টি বাংলার সংগীত জগতে চিরকাল অমলিন থাকবে।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের। তার বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষক। দেশভাগের পর তার পরিবার চুঁচুড়ায় বসবাস শুরু করে। শৈশব থেকেই কবিতায় সুর বসানোর প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করেন তিনি। যদিও তিনি কোনো প্রথাগত সংগীত শিক্ষা নেননি, তবু নিজের আবেগ ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সুর ও কথার মেলবন্ধন গড়ে তুলেছিলেন।

সংগীত জগতে তার প্রবেশ ঘটে ১৯৮৮ সালে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ অ্যালবামের মাধ্যমে, যা একক নয় বরং অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’, যেখানে সংকলিত ছিল তার অপ্রকাশিত গানগুলো।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি বাংলা গানের ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ হয়ে থাকবে। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলা ও বাঙালির আবেগের প্রতিচ্ছবি হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’-এর মতো বহু গান শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় নিজের গানে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার পক্ষে ছিলেন। তার কণ্ঠের অনন্য আবেগময়তা এবং সুরেলা পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। তাঁর প্রয়াণ বাংলা সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি, তবে তাঁর গান চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।