ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করার সময় অর্থনীতি বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী কর্তৃক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা প্রদান এবং মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ রবিবার (১৩ জুন) শাখার প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবসার নবী হামযা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, “গতকাল বিকাল ৫:০০ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে এবং একজন সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। শিক্ষাঙ্গনে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা অপরিহার্য। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর আঘাত। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”
আমরা আহত সকলের আশু সুস্থতা কামনা করছি। সেই সাথে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এবং সকল ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ভিডিও করতে গেলে তিন সাংবাদিকদের মারধর করেছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়াও এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা পারভিন তিনা, নাহিদ হাসান, সাব্বির, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত ও পান্না। একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর রহমান রিয়ন ও হৃদয় সহ ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী
