একসময় দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শহর পর্যন্ত জনপ্রিয় খেলা ছিল ভলিবল। সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া সেই খেলা আবার আলোচনায় ফিরছে কাভা কাপ সেন্ট্রাল এশিয়ান ভলিবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আগামী ২২ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ছয় জাতির প্রতিযোগিতা। স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তান।
আজ (রবিবার) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ট্রফি উন্মোচন ও সংবাদ সম্মেলন। সেখানে জানানো হয়, টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ ভুলু বলেন, আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। বাজেট এক কোটি টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি। আগের মতো অযথা ব্যয় এবার হবে না।
জাতীয় দলের অধিনায়ক হরষিত বিশ্বাস জানান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক দুটি প্রীতি ম্যাচ জিতে দল এখন আত্মবিশ্বাসী।
আমরা প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। দলের সঙ্গে রয়েছেন জাপানি কোচ রায়ান মাসাজেদি, যিনি বলেন, খেলোয়াড়দের আমি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করেছি। ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আমি ফাইনাল নিয়ে আশাবাদী।
তবে সামনে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমস অনিশ্চিত হওয়ায় কোচকে দীর্ঘমেয়াদে রাখা কঠিন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী।এই টুর্নামেন্ট শেষে আমরা সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। ভলিবলের উন্নয়নে কোচকে রাখার চেষ্টা করব।
এই কোটি টাকার আয়োজনের বড় অংশের অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন নিজেই লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী। সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন,
একটি ফেডারেশন একা চালানো সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা ভলিবলকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। একসময় র্যাংকিং ছিল ৬৫-৭০ এর মধ্যে, এখন একশ’র বাইরে। এজন্য আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছি।
বাংলাদেশের চোখ এখন একটাই— ফাইনালে পৌঁছে দেশের হারানো ভলিবলের গৌরব ফিরিয়ে আনা।






















