গত ১০ জুলাই শো করতে কানাডা গিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় থেকে কোনো খবরে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
‘মুজিব’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়ের কারণে গণঅ্যভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন এই চিত্রনায়িকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রায়ই তাকে আওয়ামীপন্থি বলে সমালোচনা করা হয়। অনেক দিন চুপ থাকার পর সেসব সমালোচনার জবাবে এবার মুখ খুললেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরকম অনেক কিছুই আমার চোখে পড়েছে, খারাপও লেগেছে। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কাকে কী বলব! আমার এক যুগের ক্যারিয়ারে শুধু আওয়ামী লীগ সরকারকেই ক্ষমতায় দেখেছি। তারা যখন যে ধরনের কাজে ডেকেছে সাড়া দিয়েছি। আসলে চিত্রজগতে তো আমি সময় কাটাতে আসিনি, এটা আমার কাজের জায়গা, আমার আয়-রোজগারের জায়গা, কাজের প্রস্তাব এলে করব, এটাই তো নিয়ম। এখন কেউ যদি আমাকে আওয়ামী সমর্থক ভেবে দূরে ঠেলে দেন, কী করতে পারি?’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমরা শিল্পী মানুষ, মানুষকে বিনোদন দেওয়াই মূলত আমাদের কাজ। আমি শুধু আমার কাজটাই করে গেছি। কখনও কোনো দলের অন্ধ সমর্থক ছিলাম না। যদি সেটা করতাম, মনে সংকীর্ণতা থাকত, দেশেই আসতাম না। এখন নতুন সরকারে যারা আছে, তারাও যদি আমাকে কোনো কাজের জন্য ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেব, কাজ করব। শিল্পীদের কাজ তো দলাদলি করা নয়, একজন শিল্পীর লক্ষ্য থাকে অভিনয় দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেওয়া।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি না। তাই বিচক্ষণতা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতেও পারব না। ছাত্র-জনতা চেয়েছিল বলেই তো পরিবর্তনটা এসেছে। একজন নাগরিক হিসেবে চাইব, যেটা হয়েছে সেটা যেন মঙ্গলের জন্য হয়। আমার বিশ্বাস, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি বিনোদনও যেন হারানো গৌরব ফিরে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে বর্তমান সরকার।’
বর্তমানে নতুন কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন নুসরাত ফারিয়া। আগের মিউজিক ভিডিওগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান তিনি। রয়েছেন কাজে ফেরার অপেক্ষায়।
