ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

জাবি শিক্ষিকা নাহরিনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মামলা

 

মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়েছেন, ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামায়াত নেতা বলেছিলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টার ভোটারদের ভোট আমাদের দিকে আসবে।

অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, যে বক্তব্যটা আমি কোট করেছিলাম, দুই সপ্তাহ বক্তব্যের ফটোকার্ড সারা দুনিয়া ঘুরেছে, তখন সেটা তাদের চোখে পড়েনি এবং যিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যটিও আর অনলাইনে নেই। যখন একটা তথ্য পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে ঘুরে এটার সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব সরকারের, পাঠকের না। কারণ একজন পাঠক জানেন না এটা মিসইনফরমেশন নাকি ডিজইনফরমেশন। একটা টক শো ছিল মির্জা গালিবের সঙ্গে, সেসময় মির্জা গালিব এ বিষয়ে কিছুই বলেননি বা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু একদিন পরে তিনি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন যে, এটার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ধরনের যদি কোনো মামলা করতেই হয় তাহলে যেখান থেকে সেটা ছড়িয়েছে (ফেসবুক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাকসু নির্বাচনে আমার একটা ভূমিকা ছিল, সেখানে আরো দুইজন শিক্ষক ছিলেন তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা আমার বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত অ্যাকশন।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

জাবি শিক্ষিকা নাহরিনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মামলা

প্রকাশিত ০৮:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

 

মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়েছেন, ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামায়াত নেতা বলেছিলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টার ভোটারদের ভোট আমাদের দিকে আসবে।

অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, যে বক্তব্যটা আমি কোট করেছিলাম, দুই সপ্তাহ বক্তব্যের ফটোকার্ড সারা দুনিয়া ঘুরেছে, তখন সেটা তাদের চোখে পড়েনি এবং যিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যটিও আর অনলাইনে নেই। যখন একটা তথ্য পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে ঘুরে এটার সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব সরকারের, পাঠকের না। কারণ একজন পাঠক জানেন না এটা মিসইনফরমেশন নাকি ডিজইনফরমেশন। একটা টক শো ছিল মির্জা গালিবের সঙ্গে, সেসময় মির্জা গালিব এ বিষয়ে কিছুই বলেননি বা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু একদিন পরে তিনি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন যে, এটার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ধরনের যদি কোনো মামলা করতেই হয় তাহলে যেখান থেকে সেটা ছড়িয়েছে (ফেসবুক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাকসু নির্বাচনে আমার একটা ভূমিকা ছিল, সেখানে আরো দুইজন শিক্ষক ছিলেন তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা আমার বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত অ্যাকশন।