জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকিউরমেন্ট অফিসার সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে প্রকিউরমেন্ট অফিসার সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এবং প্রকিউরমেন্ট অফিসার পদে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পদধারী একজনকে নিয়োগ বোর্ডে সুপারিশের গুঞ্জনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে মৌখিক অভিযোগ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে অবৈধ দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৷ এসময় তারা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন এবং সেগুলো বাতিলের দাবি জানান।
গত সোমবার(২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকিউরমেন্ট অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষায় একটি পদের বিপরীতে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। লিখিত পরীক্ষা শেষে একই দিনে ১৫ জনকে ভাইভার জন্য ডাকা হয় এবং একজনকে নিয়োগবোর্ডে সুপারিশ করা হয়। নিয়োগবোর্ডের করা সুপারিশকৃত প্রার্থীকে আগামীকাল ২৭ নভেম্বর সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে। নিয়োগবোর্ড সম্পন্নের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার সুপারিশে ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকে প্রকিউরমেন্ট অফিসার পদে সুপারিশ করা হয়েছে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে একচেটিয়াভাবে জামায়াতপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিযোগও আছে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মেজবাহ উদ্দিন রিয়াদ নামের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই নিয়োগ পরীক্ষায় সবাইকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয় নি। যারা জীবনে কোনো পরীক্ষার প্রিলি পাশ করতে পারে না তারাও পাশ করেছে অথচ বুয়েট থেকে আসা ক্যান্ডিডেট এখানে পাশ করতে পারেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন ইংরেজিতে হয় নি, এই পরীক্ষা ইংরেজিতে হবে এটা কিছু পরীক্ষার্থী আগে থেকেই জানতো। এই নিয়োগ স্বচ্ছ হয় নি। এটা স্থগিত করা উচিত। ৫ আগস্টের আগের মতো যদি এখনো নিয়োগ হয় তবে এই বিপ্লব ব্যর্থ হবে।’
আরেক সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এক পদের বিপরীতে ১৫ জন প্রার্থীকে টিকানো হয়েছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের পদধারী একজন নেতাকে সুপারিশ করা হয়েছে। এমন অস্বচ্ছ, বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগ পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে। এই অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের জন্য উপাচার্য স্যারের কাছে দাবি জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ আজ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে তাদের দাবি উপস্থাপন করেছেন এবং উপাচার্য মহোদয় বলেছেন কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ’
বিষয়টি জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।



















