যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আল-খাওয়ারিজমি একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান, ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার মূল্যবোধভিত্তিক কাওয়ালি, পুঁথিপাঠ, গান ও কবিতার সমন্বয়ে সার্বজনীন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক কালচারাল সোসাইটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে দেশের নাম করা শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।
বুধবার(৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সূচনা হবে। বিকেলে নবীন বরণ, অনলাইনে আয়োজিত সীরাত কুইজ ও সীরাত কার্নিভালের বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পীগোষ্ঠী হিসেবে থাকবেন যশোর সাংস্কৃতিক সংসদ, অদম্য সাংস্কৃতিক সংসদ, তরঙ্গ শিল্পীগোষ্ঠী, ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক সংসদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগঠনটির বিশেষ আয়োজন ‘আল-খাওয়ারিজমি একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান। এতে প্রতিটি বিভাগ থেকে তিনজনকে সংবর্ধনা দিবেন তাঁরা।
ইসলামিক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি জালিস মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃতির ধারণাকে বিকৃত ও সীমাবদ্ধভাবে দেখানোর ফলে ‘কালচার’ শব্দটি সাধারণ মানুষের কাছে ভুল অর্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই অনুষ্ঠান সেই ভুল ধারণা ভাঙতে এবং মাটি, মানুষ, শেকড় ও ইসলামী সভ্যতার সৌন্দর্যকে সামনে আনতে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হবে বলে মনে করি। আমরা প্রথমবারের মতো ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রতিটি বিভাগের শীর্ষ তিন শিক্ষার্থীকে ‘আল-খাওয়ারিজমি একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করছি। যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় থাকবে বাংলাদেশি ও ইসলামী সংস্কৃতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা কাওয়ালি, পুঁথিপাঠ, গান ও কবিতার সমন্বয়ে সাজানো এক আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
এছাড়াও আয়োজকরা জানান, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইসলামের মূলনীতিতে বৈধ ও শালীন বিনোদনের ব্যাপ্তি রয়েছে। এই বার্তা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভীড়ে ইসলামী সভ্যতার সুষমরূপকে তুলে ধরাই তাদের উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে একাডেমিক কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আরও উৎসাহিত করাই এ আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।



















