ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ Logo ওসমান হাদীকে জঙ্গি বললেন যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা Logo ‘হাদী খাইছে, তোরও খাওয়ার সময় এসে গেছে’, আসিফকে ইবি ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ‘গুলিবিদ্ধ হাদী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ শ্লোগানে উত্তাল ইবি Logo ওসমান হাদীর হত্যাচেষ্টায় জবির নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo দেশে নতুন মাদক এমডিএমবি জব্দ, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪ Logo জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সন্তোষ প্রকাশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাঁধা: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জনের শাস্তি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধাদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক, এক কর্মকর্তা ও ১৩ শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন সাবেক প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মো. মেহেদী উল্লাহ। এছাড়াও শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তালিকায় রয়েছেন সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তিনজনকেই সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ১৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের এখনো ছাত্রত্ব রয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার।

এছাড়াও শাস্তি পেয়েছেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আনাস সরকার, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. ইনজামামুল হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কে এম রাজু, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইম আহমেদ দুর্জয়, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হাসিব সিদ্দিকী, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাসনীমুল মুবীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাকিম মিয়া ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ মো. পারভেজ মাতুব্বর।

জানা যায়, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি, ভয়ভীতি ও ধর্ষণের হুমকি প্রদান এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটানোর মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছেরর ১৬ এপ্রিল ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো: হাবিব-উল-মাওলাকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল।

সাক্ষ্যগ্রহণ, ভিডিওফুটেজ ও নথিপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিটি একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণিত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

জনপ্রিয়

ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাঁধা: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জনের শাস্তি

প্রকাশিত ০৫:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধাদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক, এক কর্মকর্তা ও ১৩ শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন সাবেক প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মো. মেহেদী উল্লাহ। এছাড়াও শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তালিকায় রয়েছেন সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তিনজনকেই সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ১৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের এখনো ছাত্রত্ব রয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার।

এছাড়াও শাস্তি পেয়েছেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আনাস সরকার, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. ইনজামামুল হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কে এম রাজু, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইম আহমেদ দুর্জয়, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হাসিব সিদ্দিকী, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাসনীমুল মুবীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাকিম মিয়া ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ মো. পারভেজ মাতুব্বর।

জানা যায়, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি, ভয়ভীতি ও ধর্ষণের হুমকি প্রদান এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটানোর মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছেরর ১৬ এপ্রিল ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো: হাবিব-উল-মাওলাকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল।

সাক্ষ্যগ্রহণ, ভিডিওফুটেজ ও নথিপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিটি একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণিত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়।