ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অংশীজন অন্তর্ভুক্তিতে সরকারের অনাগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন তামাক শিল্প Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটিতে কবি নজরুল কলেজের উবায়দুল্লাহ, তাজিম Logo শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ক্র্যাবে’র শ্রদ্ধা নিবেদন Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo যথাযথ মর্যাদায় যবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন Logo জাবি রোভার স্কাউটসের সভাপতি খায়রুল, সম্পাদক তাওফিক Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবিতে ছাত্রশক্তির আয়োজনে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন Logo জাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত Logo জাবির নবনির্মিত ছয় আবাসিক হলে গ্যাস সংযোগ উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার হত্যার হুমকি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ ও স্মৃতিচারণের অংশ হিসেবে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-তে প্রদর্শনীটি শুরু হয়। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

আলোকচিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও ত্যাগের নানা মুহূর্ত ফুটে উঠেছে।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা ও জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রুবেল বলেন, “১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এ ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল।

তারা তাদের দেশীয় দোসর বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শিক্ষক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের আহ্বানে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মদান ও দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীরা আজও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজকের এই দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ সকল বুদ্ধিজীবীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভুলব না। পাশাপাশি যেসব কুচক্রী মহল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের প্রতিহত করতে ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রানা বলেন, “আলোকচিত্রগুলো দেখে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে। প্রতিটি ছবিই তাঁদের সাহসিকতা ও দেশের জন্য দেওয়া আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। আলোকচিত্রগুলো আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা ও প্রেরণার সঞ্চার করেছে এবং স্বাধীনতার ইতিহাসের তাৎপর্যকে আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।”

জনপ্রিয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অংশীজন অন্তর্ভুক্তিতে সরকারের অনাগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন তামাক শিল্প

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত ১১:৪১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ ও স্মৃতিচারণের অংশ হিসেবে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-তে প্রদর্শনীটি শুরু হয়। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

আলোকচিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও ত্যাগের নানা মুহূর্ত ফুটে উঠেছে।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা ও জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রুবেল বলেন, “১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এ ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল।

তারা তাদের দেশীয় দোসর বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শিক্ষক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের আহ্বানে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মদান ও দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীরা আজও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজকের এই দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ সকল বুদ্ধিজীবীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভুলব না। পাশাপাশি যেসব কুচক্রী মহল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের প্রতিহত করতে ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রানা বলেন, “আলোকচিত্রগুলো দেখে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে। প্রতিটি ছবিই তাঁদের সাহসিকতা ও দেশের জন্য দেওয়া আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। আলোকচিত্রগুলো আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা ও প্রেরণার সঞ্চার করেছে এবং স্বাধীনতার ইতিহাসের তাৎপর্যকে আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।”