জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা— “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?”, “যে ভারত খুনি পালে, সেই ভারত ভেঙে দাও”, “ভারতীয় আধিপত্য ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “ইনকিলাব ইনকিলাব—জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”, “আপোস না সংগ্রাম—সংগ্রাম সংগ্রাম” এবং “মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”— এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা, জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাফি এবং আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মিনহাজ।
বিক্ষোভে ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ওসামা বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত পরিকল্পিতভাবে এ দেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে শরীফ ওসমান হাদিকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—আগামী দিনে কেউ যদি বাংলাদেশকে ভারতের কলোনি বানাতে চায়, তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ কখনো তা মেনে নেবে না। দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ—এখানে কোনো ভিনদেশি আধিপত্য চলবে না।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় শরীফ ওসমান হাদিকে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এবং তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।




















