ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাককানইবিতে ইউটিএল এর ১০ দফা দাবি ঘোষণা Logo কমনরুমের ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান Logo যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কারাগারে Logo সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের নিন্দা Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

ইরানে হামলার বিষয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজ দেশে হামলার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের তিন প্রদেশে সামরিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে ইরানে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তবে ইসরায়েল তাদের হামলার কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা, তেহরানের আগের হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে। এতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “এখন ইরান যদি এই হামলার প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা এবং সমর্থন করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইরান যদি এমন দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নেয়, তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। আমরা উদ্বিগ্ন, এই হামলা পাল্টা হামলার শেষ হওয়া উচিত।”

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণকারী ছিল না। প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় নিরাপত্তা দল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলিদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করতে উৎসাহিত করেছে। যাতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এবং বেসামরিক ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে। এই হামলায় এমনটাই ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।”

হামলার পর এক বিবৃতিতে ইরানে ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্স বলেছে: “ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে তা সনাক্ত করে মোকাবিলা করেছে। তবে কিছু স্থানে সীমিত ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির মাত্রা সঠিকভাবে জানতে তদন্ত চলছে।”

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা “ইরানি ভূখণ্ডের গভীরে কৌশলগত সম্পদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং এই অভিযান শেষ হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইডিএফ ইরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হামলা সম্পন্ন করেছে। হামলার পর আমাদের বিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছিল, মিশনটি সম্পন্ন হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে ইসরায়েলি বিমান ‘ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইসরায়েলে করেছিল, সেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে আঘাত করা হয়েছে।’ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য সরাসরি এবং তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করেছিল। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অ্যারেকেও আঘাত করেছে বলে দাবি সামরিক বাহিনীর।

জনপ্রিয়

ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

ইরানে হামলার বিষয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত ১০:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজ দেশে হামলার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের তিন প্রদেশে সামরিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে ইরানে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তবে ইসরায়েল তাদের হামলার কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা, তেহরানের আগের হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে। এতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “এখন ইরান যদি এই হামলার প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা এবং সমর্থন করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইরান যদি এমন দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নেয়, তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। আমরা উদ্বিগ্ন, এই হামলা পাল্টা হামলার শেষ হওয়া উচিত।”

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণকারী ছিল না। প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় নিরাপত্তা দল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলিদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করতে উৎসাহিত করেছে। যাতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এবং বেসামরিক ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে। এই হামলায় এমনটাই ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।”

হামলার পর এক বিবৃতিতে ইরানে ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্স বলেছে: “ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে তা সনাক্ত করে মোকাবিলা করেছে। তবে কিছু স্থানে সীমিত ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির মাত্রা সঠিকভাবে জানতে তদন্ত চলছে।”

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা “ইরানি ভূখণ্ডের গভীরে কৌশলগত সম্পদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং এই অভিযান শেষ হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইডিএফ ইরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হামলা সম্পন্ন করেছে। হামলার পর আমাদের বিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছিল, মিশনটি সম্পন্ন হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে ইসরায়েলি বিমান ‘ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইসরায়েলে করেছিল, সেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে আঘাত করা হয়েছে।’ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য সরাসরি এবং তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করেছিল। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অ্যারেকেও আঘাত করেছে বলে দাবি সামরিক বাহিনীর।