ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

খুবিতে ‘ফেউ’ প্রদর্শনী: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক বাস্তবতার প্রতিচিত্র

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘থার্টি ফাইভ এম এম – দি কে ইউ মুভি ক্লাব’-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ- এর ‘ফেউ’ ওয়েব সিরিজের বিশেষ প্রদর্শনী।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে এ প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়। খুলনা ও সুন্দরবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই সিরিজের কলাকৌশলীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।

‘ফেউ’ শুধু অতীত ইতিহাস নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত এক শক্তিশালী গল্প। বাংলাদেশ ভূরাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সিনেমার মাধ্যমে চিত্রায়িত হয়েছে। নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ মনে করেন, এ ধরনের চলচ্চিত্র দেশের বাস্তবতা ও ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে আরও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবে।

মরিচঝাঁপি থেকে ২০০২—দুই সময়ের গল্প ‘ফেউ’ চলচ্চিত্রের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল একটি ১৯৭৮ সালের মরিচঝাঁপি এবং অন্যটি ২০০২ সালের বাংলাদেশ। নির্মাতাদের ভাষ্যে, মরিচঝাঁপির ঘটনাসহ সে সময়কার খুলনার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে, যা ২০০২ সালের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। সিনেমাটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার এক বিস্তৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে শুধু খুলনার ঘটনাপ্রবাহ নয়, বরং বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বও উঠে এসেছে। একাধিক পক্ষের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। চলচ্চিত্রের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ “ভাটি যার দখলে, পুরো এশিয়া তার দখলে থাকবে” এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী চরিত্রে তারিক আনাম খান, সুনীল চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী, মার্শাল চরিত্রে মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সুনীতা দেবী চরিত্রে তাহমীনা অথৈ, পলাশ চরিত্রে রিজভী রিজু, ড্যানিয়েল চরিত্রে তানভীর অপূর্ব, সোহেল চরিত্রে হোসাইন জীবন।

বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ও দীর্ঘ গবেষণা নির্মাতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ছয় মাস ধরে ছবিটির শুটিং করা হয়েছে মূলত বাদা অঞ্চলে। রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে তাঁরা দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে গল্প সাজিয়েছেন। এতে খুলনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও উঠে এসেছে।

প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। অনেকেই ছবিটি দেখে সমাজ ও রাজনীতিকে নতুনভাবে ভাবার সুযোগ পেয়েছেন বলে মত দিয়েছেন। ‘ফেউ’ শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতার এক অনন্য মিশ্রণ।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

খুবিতে ‘ফেউ’ প্রদর্শনী: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক বাস্তবতার প্রতিচিত্র

প্রকাশিত ০৮:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘থার্টি ফাইভ এম এম – দি কে ইউ মুভি ক্লাব’-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ- এর ‘ফেউ’ ওয়েব সিরিজের বিশেষ প্রদর্শনী।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে এ প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়। খুলনা ও সুন্দরবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই সিরিজের কলাকৌশলীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।

‘ফেউ’ শুধু অতীত ইতিহাস নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত এক শক্তিশালী গল্প। বাংলাদেশ ভূরাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সিনেমার মাধ্যমে চিত্রায়িত হয়েছে। নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ মনে করেন, এ ধরনের চলচ্চিত্র দেশের বাস্তবতা ও ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে আরও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবে।

মরিচঝাঁপি থেকে ২০০২—দুই সময়ের গল্প ‘ফেউ’ চলচ্চিত্রের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল একটি ১৯৭৮ সালের মরিচঝাঁপি এবং অন্যটি ২০০২ সালের বাংলাদেশ। নির্মাতাদের ভাষ্যে, মরিচঝাঁপির ঘটনাসহ সে সময়কার খুলনার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে, যা ২০০২ সালের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। সিনেমাটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার এক বিস্তৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে শুধু খুলনার ঘটনাপ্রবাহ নয়, বরং বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বও উঠে এসেছে। একাধিক পক্ষের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। চলচ্চিত্রের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ “ভাটি যার দখলে, পুরো এশিয়া তার দখলে থাকবে” এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী চরিত্রে তারিক আনাম খান, সুনীল চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী, মার্শাল চরিত্রে মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সুনীতা দেবী চরিত্রে তাহমীনা অথৈ, পলাশ চরিত্রে রিজভী রিজু, ড্যানিয়েল চরিত্রে তানভীর অপূর্ব, সোহেল চরিত্রে হোসাইন জীবন।

বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ও দীর্ঘ গবেষণা নির্মাতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ছয় মাস ধরে ছবিটির শুটিং করা হয়েছে মূলত বাদা অঞ্চলে। রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে তাঁরা দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে গল্প সাজিয়েছেন। এতে খুলনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও উঠে এসেছে।

প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। অনেকেই ছবিটি দেখে সমাজ ও রাজনীতিকে নতুনভাবে ভাবার সুযোগ পেয়েছেন বলে মত দিয়েছেন। ‘ফেউ’ শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতার এক অনন্য মিশ্রণ।