ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন

জলবায়ু সংকটে যুব নেতৃত্ব জরুরী: খুবি উপাচার্য

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও উপকূলীয় সুরক্ষায় যুবদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত খুলনা জলবায়ু যুব ফোরামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর। যুব সমাজকে জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃত্বে আনা শুধুমাত্র তাদের সম্ভাবনার বিনিয়োগ নয়, বরং এটি আমাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের কণ্ঠ শক্তি, সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস.এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান সভার সভাপতিত্ব করেন।

ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। যুব নেতৃত্বে সুন্দরবন রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় যুব সমাজের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এর মূল বিষয়গুলো যেমন ক্ষয় ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন অর্থায়ন এবং ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ৩০-এর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেন, যার মধ্যে সুন্দরবন রক্ষা ও জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সুন্দরবনের সংকট ও জলবায়ু অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ আলোচনায় বক্তারা সুন্দরবনের অবক্ষয়, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজারো মানুষের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন জলবায়ু কর্মী শাহিন আলম, হাবিবুল্লাহ মুগ্ধ, নন্দিনি মন্ডল, সামিরা মোস্তফা।

নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম) এবং ইয়ুথনেট গ্লোবালের যৌথ আয়োজনে এই ফোরাম আয়োজনে সহায়তা করে ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সাপোর্ট অ্যালায়েন্স (কাসা) এবং যুক্তরাজ্য সরকার।

জনপ্রিয়

এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস

জলবায়ু সংকটে যুব নেতৃত্ব জরুরী: খুবি উপাচার্য

প্রকাশিত ০৭:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও উপকূলীয় সুরক্ষায় যুবদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত খুলনা জলবায়ু যুব ফোরামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর। যুব সমাজকে জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃত্বে আনা শুধুমাত্র তাদের সম্ভাবনার বিনিয়োগ নয়, বরং এটি আমাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের কণ্ঠ শক্তি, সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস.এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান সভার সভাপতিত্ব করেন।

ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। যুব নেতৃত্বে সুন্দরবন রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় যুব সমাজের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এর মূল বিষয়গুলো যেমন ক্ষয় ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন অর্থায়ন এবং ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ৩০-এর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেন, যার মধ্যে সুন্দরবন রক্ষা ও জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সুন্দরবনের সংকট ও জলবায়ু অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ আলোচনায় বক্তারা সুন্দরবনের অবক্ষয়, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজারো মানুষের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন জলবায়ু কর্মী শাহিন আলম, হাবিবুল্লাহ মুগ্ধ, নন্দিনি মন্ডল, সামিরা মোস্তফা।

নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম) এবং ইয়ুথনেট গ্লোবালের যৌথ আয়োজনে এই ফোরাম আয়োজনে সহায়তা করে ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সাপোর্ট অ্যালায়েন্স (কাসা) এবং যুক্তরাজ্য সরকার।