ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রথম একাডেমিক ভবনটি আবারও তার গৌরবময় প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ ভবন’ নামটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭০তম (সাধারণ) সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভবনের সামনে নামফলকটি প্রতিষ্ঠাকালীন নামে পরিবর্তন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয় থিওলজি অনুষদের দীর্ঘদিনের দাবি।
জানা যায়, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এই ভবন থেকেই কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের পরিক্রমায় ভবনটিতে অন্যান্য অনুষদের কার্যক্রম চালু হলে এর নাম পরিবর্তন করে সাধারণভাবে ‘অনুষদ ভবন’ রাখা হয়। এরপর থেকেই থিওলজি অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র পরিচয় ফিরে পেতে নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই দাবি বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা রাখেন।
৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬
এ ব্যাপারে অনুষদের ডিন ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ‘এটি আমার একটি প্রতিশ্রুতি ছিল। আগস্ট মাসে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর নাম ফিরে পাওয়াটা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রথম অনুষদ হয়েও আমরা দীর্ঘদিন স্বীকৃতির অভাবে ভুগেছি। এটি আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার সূচনা মাত্র। ভবনটির এখন ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন, এ বিষয়েও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথাগত প্রক্রিয়া শেষ করে অনুষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে ভবনটি এই নামেই পরিচিত হবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাচীনতম ভবনে এখনও থিওলজি অনুষদ ছাড়াও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সমাজকর্ম ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের কার্যক্রম চলমান।

















