হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হলো ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা ‘ক্ল্যাশ অব ভেটস’।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১-এ আন্তর্জাতিক ভেটেরিনারি শিক্ষার্থী সংগঠন IVSA-HSTU Bangladesh এর আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি ও অ্যানিমাল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রাকিবুল হাসান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আশিকা আকবর তৃষা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া এবং ভেটেরিনারি অনুষদের আটটি বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৯টি দল, প্রতিটি দলে ছিল ভেটেরিনারি অনুষদের পাঁচটি ব্যাচ থেকে একজন করে সদস্য। দলীয়ভাবে ‘ম্যাসটাইটিস’ রোগ বিষয়ক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। রোগটির কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ ও গবেষণাভিত্তিক উপস্থাপনা ছিল প্রতিটি দলের মূল ফোকাস।
২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম আবির বলেন, “প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লাগছে। নির্বাচিত টপিক আমাদের ফিল্ডে ডায়াগনোসিসে সহায়তা করবে। জুনিয়র-সিনিয়র একসঙ্গে কাজ করায় ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে আগেভাগেই ধারণা পাচ্ছি। পাবলিক স্পিকিংয়ের অভিজ্ঞতাও হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।”
সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, “IVSA-HSTU বাংলাদেশ ভেট শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। আমরা ইতোমধ্যে ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্পসহ নানা সেবামূলক কার্যক্রম করেছি। ম্যাস্টাইটিস আমাদের দেশের লাইভস্টক সেক্টরের বড় হুমকি। এই রোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও আন্তর্জাতিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরা খামার পর্যায়ে সমাধান পৌঁছে দিতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ক্যাম্পাসে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে, যা জলাতঙ্ক ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে আমরা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারি।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আশিকা আকবর তৃষা বলেন, “IVSA-এর আজকের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ ধরনের আয়োজন দক্ষ ভেট তৈরিতে সহায়ক। প্রাণিসম্পদ খাত শুধু আমিষ সরবরাহ নয়, দেশের জিডিপি ও কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী দলগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা জানান, অনুষদ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর এই প্রথম এমন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী চিন্তা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।





















