ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo জাবিতে গাঁজাসহ দুই শিক্ষার্থী আটক Logo জাবিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন Logo পাখির জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে জাকসুর উদ্যোগে মনপুরা লেকের সংস্কার কাজ শুরু Logo ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাককানইবিতে ইউটিএল এর ১০ দফা দাবি ঘোষণা Logo কমনরুমের ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান Logo যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কারাগারে Logo সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের নিন্দা Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

জাবিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) জাতীয়বাদী শিক্ষকদের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদে এই দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শামছুল আলম বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান কোন একক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নি। তিনি পুরো জাতির জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেই কাজ করেছেন তার ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে এবং আমরা আজকে তাঁরজন্য দোয়া করবো।”

দোয়ার আয়োজনে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিএনপির জন্মদিনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি ‘সৈনিক-জনতা বিপ্লব’-এর প্রতীক। স্বাধীনতার পর দেশে যে অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে মুক্তির প্রত্যাশাই ছিল এই বিপ্লবের মূল কারণ। স্বাধীনতা ঘোষণার পর জিয়াউর রহমান নীরবে তার দায়িত্ব পালন করেন, তিনি কখনও ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেননি। কিন্তু যখন দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা ধ্বংস হতে থাকে, তখন জনগণ ও সৈনিকদের চাপে তাকে পুনরায় নেতৃত্বে আনা হয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিনি দেশের স্বার্থে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও অনাচার দূর করতে সবাইকে একত্রিত করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ঐক্যেই উন্নয়নের পথ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ভিত্তি প্রদান করেন, যা এক অর্থে আমাদের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এনে দেয়। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আন্তরিক, ভিত্তিমূলক ও জনদরদী নেতা, যিনি সবাইকে ভালোবাসতেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন।”

এছাড়াও, উক্ত দোয়ার আয়োজনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও শাখা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

জাবিতে গাঁজাসহ দুই শিক্ষার্থী আটক

জাবিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন

প্রকাশিত ১১:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) জাতীয়বাদী শিক্ষকদের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদে এই দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শামছুল আলম বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান কোন একক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নি। তিনি পুরো জাতির জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেই কাজ করেছেন তার ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে এবং আমরা আজকে তাঁরজন্য দোয়া করবো।”

দোয়ার আয়োজনে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিএনপির জন্মদিনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি ‘সৈনিক-জনতা বিপ্লব’-এর প্রতীক। স্বাধীনতার পর দেশে যে অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে মুক্তির প্রত্যাশাই ছিল এই বিপ্লবের মূল কারণ। স্বাধীনতা ঘোষণার পর জিয়াউর রহমান নীরবে তার দায়িত্ব পালন করেন, তিনি কখনও ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেননি। কিন্তু যখন দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা ধ্বংস হতে থাকে, তখন জনগণ ও সৈনিকদের চাপে তাকে পুনরায় নেতৃত্বে আনা হয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিনি দেশের স্বার্থে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও অনাচার দূর করতে সবাইকে একত্রিত করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ঐক্যেই উন্নয়নের পথ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ভিত্তি প্রদান করেন, যা এক অর্থে আমাদের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এনে দেয়। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আন্তরিক, ভিত্তিমূলক ও জনদরদী নেতা, যিনি সবাইকে ভালোবাসতেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন।”

এছাড়াও, উক্ত দোয়ার আয়োজনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও শাখা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।