জুলাই আন্দোলনে হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিচারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু)। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে তারা।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি উপস্থাপন করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
জাকসুর উপস্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলো হলো, অবৈধ ও বিতর্কিত নিয়োগ তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বে থাকা ‘ফ্যাসিস্ট দোসরদের’ অপসারণ; গত ৩৩ বছরের জাকসু ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ ও অনতিবিলম্বে ফান্ড প্রদান; একাডেমিক সংস্কারের লক্ষ্যে মানোন্নয়ন পরীক্ষা, শিক্ষক মূল্যায়ন ও খাতা পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু করা এবং দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশে একাডেমিক অপরাধের শাস্তি স্পষ্ট করা; এবং নতুন ছয়টি হল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে শ্বেতপত্র প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।
এসময় জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলাম বলেন, জাকসু নির্বাচনের পর গত দুই মাসে আমরা লক্ষ্য করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা ও নানা অসঙ্গতি বেড়েই চলেছে। এসব পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে এই দাবিগুলো উত্থাপন করেছি। আমরা প্রশাসনকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছি-এই সময়ের মধ্যে জুলাই হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে জাকসুর জন্য মাত্র ১০ লাখ টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। এতে করে আমরা চাইলেও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছি না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে, যা জাকসুর কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে।





















