সাত কলেজের সমন্বয়ে ‘প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেড় বছর ধরে চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাতে শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ আলোচনা এবং সিনিয়রদের নির্দেশনার ভিত্তিতে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দফা কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. নাঈম হাওলাদার মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অধ্যাদেশ প্রকাশ ও নতুন সেশনের ক্লাস শুরুর দাবিতে শিক্ষার্থীরা দিন–রাত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল। সোমবার দুপুরে আন্দোলনরতদের এক প্রতিনিধি দলকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশ পরিমার্জনের কাজ শেষ করে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে। তবে খসড়া বা চূড়ান্ত অধ্যাদেশ কবে প্রকাশ পাবে—এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। পাশাপাশি জানানো হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বরাবরই আস্থাশীল। তবে নতুন খসড়ায় ‘শিক্ষা সিন্ডিকেট’ বা ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ প্রভাব রয়েছে কি না—তা নিয়ে তাঁদের শঙ্কা রয়েছে। নাঈম হাওলাদার বলেন, “অধ্যাদেশে যদি শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষা ও অধিকার সংরক্ষণ না থাকে, তাহলে সেই অধ্যাদেশ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করবে। বঞ্চনার সুযোগ তৈরি করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশন চাপিয়ে দেয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
তিনি আরও জানান, আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস ২০১৭ সালে সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার সময় থেকেই শুরু। একটি মানসম্পন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের শোষণ–বঞ্চনার অবসান হবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। নির্ধারিত সময়ে অধ্যাদেশ প্রকাশ না হলে বা শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবি খসড়ায় প্রতিফলিত না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।




















