ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

ইবি সিএসইতে ১৫ বছরের নকল সিন্ডিকেট, শিক্ষকের আবেদন: ‘এবার ব্যবস্থা নিন’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিএসই বিভাগে বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত নকলসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা অপরাধ ও তৎপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের অবৈধ পক্ষপাতের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আলোচনার জন্য অনুরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান।

সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর এক আবেদনে তিনি এ অনুরোধ করেন।

আবেদনে অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান অভিযোগ করেন, বিভাগটিতে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে একজন পরীক্ষার্থীর নকল ধরে যথাযথ পদ্ধতিতে রিপোর্ট করলেও নিয়মবহির্ভূত ভাবে তাকে শৃঙ্খলা কমিটি দায় মুক্তি দেয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদস্বরূপ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

তাঁর অভিযোগ, ঐ নকলকারীর বিরূদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া কতিপয় সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। একাধিকবার নকলরত ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তৎকালীন প্রশাসন তাকে ক্ষমা করে দেয়।

এছাড়া আবেদনে তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে অন্য একজন পরীক্ষার্থীকে নকলরত ধরে শাস্তির আবেদন করলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাছাড়া ২০২৪ সালে আরেক ছাত্রের নকল ধরে রিপোর্ট করা হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাগকে ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়।

অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান বলেন, এই ঘটনাসমূহের পর থেকে বিভাগের শিক্ষকগণ হতাশ হয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধী দমন করতে নিরুৎসাহিত হন। ফলে বিভাগে নকলের প্রবণতা বেড়ে নকলের স্বর্গে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় পরীক্ষা সংক্রান্ত শৃঙ্খলা রক্ষায় অপরাধীদের কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

ইবি সিএসইতে ১৫ বছরের নকল সিন্ডিকেট, শিক্ষকের আবেদন: ‘এবার ব্যবস্থা নিন’

প্রকাশিত ০৯:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিএসই বিভাগে বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত নকলসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা অপরাধ ও তৎপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের অবৈধ পক্ষপাতের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আলোচনার জন্য অনুরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান।

সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর এক আবেদনে তিনি এ অনুরোধ করেন।

আবেদনে অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান অভিযোগ করেন, বিভাগটিতে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে একজন পরীক্ষার্থীর নকল ধরে যথাযথ পদ্ধতিতে রিপোর্ট করলেও নিয়মবহির্ভূত ভাবে তাকে শৃঙ্খলা কমিটি দায় মুক্তি দেয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদস্বরূপ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

তাঁর অভিযোগ, ঐ নকলকারীর বিরূদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া কতিপয় সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। একাধিকবার নকলরত ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তৎকালীন প্রশাসন তাকে ক্ষমা করে দেয়।

এছাড়া আবেদনে তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে অন্য একজন পরীক্ষার্থীকে নকলরত ধরে শাস্তির আবেদন করলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাছাড়া ২০২৪ সালে আরেক ছাত্রের নকল ধরে রিপোর্ট করা হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাগকে ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়।

অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান বলেন, এই ঘটনাসমূহের পর থেকে বিভাগের শিক্ষকগণ হতাশ হয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধী দমন করতে নিরুৎসাহিত হন। ফলে বিভাগে নকলের প্রবণতা বেড়ে নকলের স্বর্গে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় পরীক্ষা সংক্রান্ত শৃঙ্খলা রক্ষায় অপরাধীদের কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি।