ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাককানইবিতে ইউটিএল এর ১০ দফা দাবি ঘোষণা Logo কমনরুমের ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান Logo যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কারাগারে Logo সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের নিন্দা Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

দূষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত

দূষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত

দেশব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত সারা দেশে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা ও স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা ও ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ১১০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ২ হাজার ৬৩৭টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় ৪৮২টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮৬টি পরিবেশদূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সীসা ও ব্যাটারি গলানোর ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮টি ট্রাক পরিমাণ যন্ত্রপাতি জব্দপূর্বক কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে খুলনা জেলায় যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রার অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ১টি মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

একই দিনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে লালমনিরহাট, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোর জেলায় ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৭টি মামলার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ২৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুসারে লালমাটিয়া ও খিলগাঁও এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।

এছাড়াও আজ খুলনা ও রাজবাড়ী জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৪৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও অবৈধভাবে পরিচালিত কয়লা উৎপাদনকারী কয়েকটি চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্নার ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, পরিবেশদূষণ বিরোধী এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয়

ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

দূষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত

প্রকাশিত ০৮:৩৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

দেশব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত সারা দেশে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা ও স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা ও ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ১১০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ২ হাজার ৬৩৭টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় ৪৮২টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮৬টি পরিবেশদূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সীসা ও ব্যাটারি গলানোর ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮টি ট্রাক পরিমাণ যন্ত্রপাতি জব্দপূর্বক কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে খুলনা জেলায় যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রার অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ১টি মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

একই দিনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে লালমনিরহাট, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোর জেলায় ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৭টি মামলার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ২৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুসারে লালমাটিয়া ও খিলগাঁও এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।

এছাড়াও আজ খুলনা ও রাজবাড়ী জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৪৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও অবৈধভাবে পরিচালিত কয়লা উৎপাদনকারী কয়েকটি চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্নার ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, পরিবেশদূষণ বিরোধী এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।