পটাশিয়াম হলো আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লবণ। এটি নরম, রুপালি-সাদা ধাতু যা শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যক খনিজ উপাদানের একটি। এটি মূলত পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখে এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পটাশিয়ামের ভূমিকা অপরিসীম।
পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে কি কি হতে পারে
• পটাশিয়ামের অভাবের অনেক সময় শরীর খুব দুর্বল লাগে। রক্তে যখন পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে, তখন পেশী দুর্বল হয়ে যায়।তাই ক্লান্ত লাগে।
• পটাশিয়াম পেশী সংকোচনে সহায়তা করে। রক্তে এর মাত্রা কমে গেলে এই ভারসাম্য প্রভাবিত হয়। ফলে পেশীর অনিয়ন্ত্রিত এবং দীর্ঘায়িত সংকোচন ঘটতে পারে।
• ফুসফুস প্রসারিত এবং সংকুচিত করতে পটাশিয়াম সাহায্য করে, তাই এর অভাবের ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
• শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পটাশিয়াম । এর অভাব হলে কিডনি শরীরে সোডিয়াম ধরে রাখে, তাই অনেকসময় রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
• পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে পেট ফুলে যাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ এটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে খাবারের চলাচলকে নিয়ন্ত্রন করে।
ঘাটতি পূরণের উপায়
খাবার, কলা, মিষ্টি আলু, পালং শাক, কমলালেবু এবং অ্যাভোকাডোর মতো পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
চিকিৎসা
গুরুতর ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে, যার মধ্যে ইন্ট্রাভেনাস (IV) পটাশিয়াম সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।






















