এ ছাড়া এক চামচ ভেজিটেবল গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চা চামচ বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে কয়েক ফোঁটা জোজোবা এসেনসিয়াল অয়েল মেশান। মিশ্রণটিতে কোনো পানি ব্যবহার করা যাবে না। এই মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের কালচে পিগমেন্টেশন চলে যায় এবং ঠোঁটে গোলাপিভাব আসে।
রোজকার যত্নে
১. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে হবে। ভালো হয় এর সঙ্গে বিটরুট ও গোলাপের মিশ্রণ যোগ করতে পারলে। প্রথমে একটি বিটরুটের রস নিয়ে তাতে ৬টি গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে ভালো করে জ্বাল করে নিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ভ্যাসলিনের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই ভ্যাসলিনের মিশ্রণ ১২-১৫ দিন রেখে ব্যবহার করা যাবে। রোজকার ব্যবহারে ঠোঁট হবে নরম ও কোমল।
২. অনেকের ঠোঁটের দুই পাশে ঘা হয় বা ফেটে যায়। এ সমস্যাটি মূলত হয় ভিটামিন ‘বি১২’-এর অভাবে। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এই সমস্যার জন্য ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ভালো।
আজকাল বাজারে বা অনলাইনে অল্প সময় ঠোঁট গোলাপি করার নানা ক্রিম পাওয়া যায়। এতে সাময়িকভাবে ঠোঁট গোলাপি হলেও পরে ঠোঁটে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ঠোঁটে কালচে দাগ হয়ে বসে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে এশিয়ানদের জন্য তৈরি লিপবাম ব্যবহার করা ভালো। এগুলো অনেক বেশি ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ। এতে ঠোঁটের চামড়া অতিরিক্ত পাতলা হওয়ার মতো সমস্যা হয় না। এ ছাড়া এসপিএফযুক্ত লিপবাম ঠোঁটকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে।
মানসম্পন্ন এবং ভালো কম্পানির লিপস্টিক, লিপবাম বা লিপলাইনার ব্যবহার করতে হবে। ঠোঁটের কোনো প্রসাধনী ব্যবহারের আগে এক চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চামচ পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে ব্যবহার করলে ঠোঁটের ক্ষতি হবে না। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই লিপস্টিক তুলে ফেলতে হবে।
