কাইল মায়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং ঝড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে বরিশাল মাঠ ছাড়ে।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাবে বরিশাল ৫৭ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে।এ জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল টেবিলের দুইয়ে উঠল। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স।
ইনিংসের প্রথম বলেই রাকিম কর্নওয়ালের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন তামিম ইকবাল। বরিশালের হয়ে প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন। আজকের খেলায় একাদশে ফিরে তানজিম হাসান সাকিবের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকির হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মায়ার্স ও হৃদয় ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। বাইশ গজে ঝড় তুলে গড়েন ১১৬ রানের জুটি ম্যাচের শেষ দিকে তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার বার্তা দেন হৃদয়। ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকা মায়ার্স ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটও দলীয় শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল। ওপেনার রনি তালুকদার আজ রানের খাতা খুলতে পারেননি। রাকিম কর্নওয়াল ও জাকির হাসান রানের চাকা সচল রাখেন। কর্নওয়াল বিদায় নিলেও পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলেছিল আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়ে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সুরমা পাড়ের দলটি ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানেই গুটিয় গেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। কাইল মায়ার্সের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজ বৃত্তের ভেতর ক্যাচ দেন রনি তালুকদার। পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে উইকেট দিয়ে কর্নওয়াল বিদায় নেন। উইন্ডিজের এই ক্রিকেটার ১৮ রান করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন।
জর্জ মুন্সে ও জাকির হাসান মিলে আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে ২ উইকেটে ৭৬ থেকে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৮৯ রান। জাকির হাসান ২৫ ও মুন্সে ১৩ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষদিকে অধিনায়ক আরিফুল হকের ১৯ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে সোয়া একশ রানের স্কোর পায় সিলেট।
বল হাতে বরিশালের হয়ে রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ১৫ রানে ৩ উইকেট পান। জাহানদাদ খান ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট।
