রক্ত বলতে এক ধরনের তরলকে বোঝানো হয় যা মানুষের এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। এটি দেহের কোষগুলোতে অক্সিজেন, পুষ্টি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
রক্ত তরল হলেও এর নির্দিষ্ট ঘনত্ব থাকা জরুরি। রক্ত ঘন হলে তা কঠিন কোনো রোগের ইঙ্গিত বহন করে। চিকিৎসকদের মতে, রক্ত ঘন হলে তা হৃদপিণ্ড ও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পার। আবার রক্ত খুব বেশি পাতলা হলেও তা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। এমনটা হলে প্লাটিলেটের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। শরীরের কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হয়।
আপনার রক্ত কি ঘন না পাতলা? বুঝবেন কীভাবে? চলুন জানা যাক-
চিকিৎসকদের মতে, যদি রক্ত ঘন হয় তাহলে হৃদপিণ্ড এবং কিডনির সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার রক্ত খুব বেশি পাতলা হলে প্লাটিলেট দ্রুতগতিতে কমতে থাকে। এমনকী, কোনো কারণে দেহে আঘাত লেগে রক্ত বের হলে, পাতলা রক্ত জমাট বাঁধতে চায় না।
ঘন হোক বা পাতলা— রক্তের ক্ষেত্রে কোনোটিই ভালো নয়। অতিরিক্ত ঘন রক্ত হলে তা হৃদরোগ, কিডনি রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে রক্ত পাতলা হলে ইমিউনিটি কমে যায়। শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে দ্রুত।
রক্তক্ষরণ হলে, তা জমাট বাঁধতে কতটা সময় লাগে, তা বোঝার জন্য prothrombin Time টেষ্ট করা যায়। এর ফলে বোঝা যাবে আপনার রক্ত ঘন নাকি পাতলা। অন্যদিকে Activated Partial Thromboplastin Time নামক একটি টেস্ট রয়েছে। যা রক্তের ঘনত্ব বোঝাতে সাহায্য করে, সেসঙ্গে মেপে দেখে রক্ত জমাট বাঁধতে কতটা সময় লাগবে।
এই টেষ্ট কাদের করা দরকার?
যারা রক্ত তরল করার ওষুধ খান, তারা নিয়মিত এই রক্তপরীক্ষা করান। যারা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন, তাদেরও এই পরীক্ষা করা উচিত। পাকস্থলির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও এই টেস্ট করানো উচিত।
