দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ডিয়েগো প্লাসেন্তের জাদুতে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এক ঝলকেই চোখ এখন সপ্তম বিশ্বকাপ শিরোপায়।
একসময় আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, রিভার প্লেট ও বায়ার লেভারকুসেনের তারকা লেফটব্যাক ছিলেন প্লাসেন্তে। ১৯৯৫ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পরই নজর কাড়েন রিভার প্লেটের। পরে ছিলেন ১৯৯৭ সালের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ২০০২ বিশ্বকাপ ও ২০০৪ কোপা আমেরিকায়।
তবে প্লাসেন্তের জীবনের সবচেয়ে নাটকীয় অধ্যায় ফুটবল মাঠে নয়, জেলখানায়। ২০১৩ সালে জার্মানিতে কর ফাঁকির অভিযোগে ২৮ দিন কারাভোগ করতে হয় তাকে। পরে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও সেই অভিজ্ঞতা তার জীবনে বড় মোড় এনে দেয়। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাকে কমলা জাম্পস্যুট পরানো হয়েছিল, তবুও সেখানে ফুটবল খেলতাম। ৩ নম্বর জার্সি দিলেও আমি ১০ নম্বর চেয়েছিলাম!”
ফুটবলের পাশাপাশি সংগীতেও সমান আগ্রহ প্লাসেন্তের। আর্জেন্টাইন রক ব্যান্ড লস রেদোন্দোস-এর তিনি একনিষ্ঠ ভক্ত। এমনকি একবার ব্যান্ডটির কনসার্ট দেখতে গিয়ে রিভার প্লেটের ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড নিয়েছিলেন, যাতে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়ে কনসার্টে যেতে পারেন!
বিতর্ক, ব্যর্থতা আর সংগ্রাম পেরিয়ে এখন তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলের নতুন ‘ত্রাতা’। নিজের অভিজ্ঞতা ও দৃঢ়তায় তরুণ দলটিকে তিনি এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে।
এখন বাকি শুধু এক ধাপ। মরক্কোকে হারাতে পারলে ইতিহাস গড়বে আর্জেন্টিনা, আর ডিয়েগো প্লাসেন্তে হয়ে উঠবেন নতুন নায়ক—যিনি জেল থেকে উঠে এসে মাতৃভূমিকে উপহার দেবেন অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের সপ্তম শিরোপা।






















