আমলাতন্ত্র জনবান্ধব হচ্ছে না বরং সেবার নামে ভোগান্তির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
রবিবার বিকেলে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনপ্রশাসনে অরাজকতা নিরসন ও সংস্কার বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ফুয়াদ দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে প্রশাসন প্রায় স্থবির হয়ে পরেছে। পুরো প্রশাসন ব্যবস্থা নাগরিক সেবার পরিবর্তে দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়ায় জনগণ তার সঠিক সেবা পাচ্ছেনা। বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ঢোকার সাথে সাথে বেশির ভাগ ব্যক্তি নিজেকে জনগণের সেবক ভাবার পরিবর্তে জনগণের মালিক হিসেবে হাজির হয়। ফলশ্রুতিতে জনপ্রশাসনের সকল কার্যক্রম জনভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরে যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হচ্ছে সেই কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা ও ভাইবা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের সংযুক্ত করা, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি কে ঢেলে সাজানো, পিএসসি ও জনপ্রশাসন কেন্দ্রীক নিয়োগের বদলে প্রতিটা মন্ত্রনালয়ের আলাদা বিশেষায়িত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
ট্রেড ইউনিয়নের নামে অরাজকতা বন্ধ করে চাকরিতে দলীয় রাজনীতি বন্ধ করার কথাও জানান তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে তা গণ তদন্ত কমিশন করে ঐক্যমত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলেও পরামর্শ দেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম আহবায়ক লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, সাঈদ নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ, এবি যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
