ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পোড়ালেন রিজভী

স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী। একইসঙ্গে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়িটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠান।

সেখানে রিজভী বলেন, ‘যারা আমার দেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা, তারা আর ভারতীয় শাড়ি, সাবান টুথপেস্টসহ কোনো কিছুই কিনবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার দেশ স্বনির্ভর। এখানে পেঁয়াজ হয়, যার ঝাঁজ ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের মরিচের চেয়ে আমাদের মরিচের ঝাল অনেক বেশি। আমাদের যদি জায়গা না থাকে আমরা ছাদের ওপরে মরিচ লাগাব, বাড়ির উঠানের মধ্যে পেঁপে গাছ লাগাব। তবুও ভারতের মুখাপেক্ষী হবো না, তাদের পণ্য বর্জন করব।’

ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনারা কী দেবেন আমার তার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব, এটা ভাবার কারণ নাই। এটা হাসিনার মতো লোক করতে পারে, কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ করবে না।’

দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারত যে বাংলাদেশ লুণ্ঠনের চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে, আমাদের মর্যাদাহানি করার চেষ্টা করেছে, আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করব না। আমরা আরেকটা স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করব না। প্রত্যেক জাতির যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সেটিকে আমরা অসম্মান করব না, ওদের মতো ছোটলোকি করব না। আমরা ওদের দেশের পতাকাকে সম্মান করব, কিন্তু ওদের পণ্য বর্জন করব।’

ভারতীয়দের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছো, তোমরা আমাদেরকে পছন্দ করো না। তারপরও তোমাদের জিনিস আমাদের কিনতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ তো মাথানত করার মানুষ না। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তারপরও মাথানত করবো না।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের অনেক সাংবাদিক, অনেক রাজনৈতিক নেতা বলেন, সেখানে না গেলে নাকি বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা হয় না। আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন? আপনারা কি বিনা টাকায় এক কাপ চা খাওয়ান? এই নজির তো নাই আপনাদের।’

রিজভী বলেন, ‘ভারত নিষ্ঠুর হাসিনাকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ টিকে থাকুক এটা তারা চায় না। আজকে তারা নানা ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে, বাংলাদেশের ভেতরে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের উস্কানিতে পা দেয়নি। দুই-একটা গোষ্ঠী থাকতে পারে, তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ যে আমাদের এখানে উস্কানি দিতে পারে, এটা গোটা জাতি ধরে ফেলেছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর যে ঐক্য এটা ইস্পাতকঠিন। এই ঐক্যকে কেউ ভাঙতে পারবে না।’

ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পোড়ালেন রিজভী

প্রকাশিত ১২:০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী। একইসঙ্গে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়িটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠান।

সেখানে রিজভী বলেন, ‘যারা আমার দেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা, তারা আর ভারতীয় শাড়ি, সাবান টুথপেস্টসহ কোনো কিছুই কিনবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার দেশ স্বনির্ভর। এখানে পেঁয়াজ হয়, যার ঝাঁজ ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের মরিচের চেয়ে আমাদের মরিচের ঝাল অনেক বেশি। আমাদের যদি জায়গা না থাকে আমরা ছাদের ওপরে মরিচ লাগাব, বাড়ির উঠানের মধ্যে পেঁপে গাছ লাগাব। তবুও ভারতের মুখাপেক্ষী হবো না, তাদের পণ্য বর্জন করব।’

ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনারা কী দেবেন আমার তার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব, এটা ভাবার কারণ নাই। এটা হাসিনার মতো লোক করতে পারে, কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ করবে না।’

দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারত যে বাংলাদেশ লুণ্ঠনের চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে, আমাদের মর্যাদাহানি করার চেষ্টা করেছে, আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করব না। আমরা আরেকটা স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করব না। প্রত্যেক জাতির যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সেটিকে আমরা অসম্মান করব না, ওদের মতো ছোটলোকি করব না। আমরা ওদের দেশের পতাকাকে সম্মান করব, কিন্তু ওদের পণ্য বর্জন করব।’

ভারতীয়দের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছো, তোমরা আমাদেরকে পছন্দ করো না। তারপরও তোমাদের জিনিস আমাদের কিনতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ তো মাথানত করার মানুষ না। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তারপরও মাথানত করবো না।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের অনেক সাংবাদিক, অনেক রাজনৈতিক নেতা বলেন, সেখানে না গেলে নাকি বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা হয় না। আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন? আপনারা কি বিনা টাকায় এক কাপ চা খাওয়ান? এই নজির তো নাই আপনাদের।’

রিজভী বলেন, ‘ভারত নিষ্ঠুর হাসিনাকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ টিকে থাকুক এটা তারা চায় না। আজকে তারা নানা ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে, বাংলাদেশের ভেতরে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের উস্কানিতে পা দেয়নি। দুই-একটা গোষ্ঠী থাকতে পারে, তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ যে আমাদের এখানে উস্কানি দিতে পারে, এটা গোটা জাতি ধরে ফেলেছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর যে ঐক্য এটা ইস্পাতকঠিন। এই ঐক্যকে কেউ ভাঙতে পারবে না।’

ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য দেন।