ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দিলো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা

কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা কে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। জানা যায়, রাকিব হোসেন ছাত্রলীগের কবি নজরুল কলেজ শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। রাকিব কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স ২য় বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা শেষে চলে যাওয়ার সময় কলেজের মূল ফটকে বৈষমবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাথীরা তাকে ও তার বন্ধু ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দীন সোহাসকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’জনকে নিয়ে যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, রাকিব নানা সময়ে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতো। গত জুলাই মাসের সহিংসতায় সে সরাসরি যুক্ত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এজন্য আজ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সুত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম অভিযাত্রাকে জানান, রাকিবের নামে সূত্রাপুর থানায় কবি নজরুল কলেজের সামনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ইফতেখারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। রাকিব ও ইফতেখার দুই বন্ধু। পরীক্ষা শেষে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে রাকিবকে মারধর করার সময় ইফতেখার তাকে বাঁচাতে গেলে দুইজনই মারধরের শিকার হয়। তখন ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুজনকেই আমরা থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ইফতাকারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মারধর বা থানায় নিয়ে যাবার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না, কেউ আমাকে জানায়ও নি। তবে আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখুনি খোঁজ নিচ্ছি।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দিলো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা

প্রকাশিত ১০:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা কে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। জানা যায়, রাকিব হোসেন ছাত্রলীগের কবি নজরুল কলেজ শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। রাকিব কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স ২য় বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা শেষে চলে যাওয়ার সময় কলেজের মূল ফটকে বৈষমবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাথীরা তাকে ও তার বন্ধু ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দীন সোহাসকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’জনকে নিয়ে যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, রাকিব নানা সময়ে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতো। গত জুলাই মাসের সহিংসতায় সে সরাসরি যুক্ত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এজন্য আজ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সুত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম অভিযাত্রাকে জানান, রাকিবের নামে সূত্রাপুর থানায় কবি নজরুল কলেজের সামনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ইফতেখারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। রাকিব ও ইফতেখার দুই বন্ধু। পরীক্ষা শেষে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে রাকিবকে মারধর করার সময় ইফতেখার তাকে বাঁচাতে গেলে দুইজনই মারধরের শিকার হয়। তখন ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুজনকেই আমরা থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ইফতাকারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মারধর বা থানায় নিয়ে যাবার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না, কেউ আমাকে জানায়ও নি। তবে আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখুনি খোঁজ নিচ্ছি।