ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

বিতর্কিত যবিপ্রবি শিক্ষক সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ মামলা

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ১১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৮ বার পঠিত

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকা, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা, জুলাই ছাত্র জনতার অভ্যুথানের বিরোধিতা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে শাস্থি না পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। এছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ করেন।

আবেদনপত্রে তিনি লিখেন, ২০২৪ সালে ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগীর নিজ বাসায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন ড. সুজন চৌধুরী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর সাথে অর্থের বিনিময় করে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আদালতের সরণাপন্ন হতে বলেন। পরে তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন তাল বাহানায় বিষয়াটি এড়িয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এর যথাযথ বিচার চাই।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ঐ নারী। এদিকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করার বিষয়ে ঐ নারীকে প্রশ্ন কারা হলে তিনি বলেন এই অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি যদি তাকে ব্লাকমেইল করে থাকি তাহলে ড. সুজন চৌধুরী সেটা প্রমাণ করুক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসছে। আমি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবো।

মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা এস আই তালেব বলেন, আমি এই মামলার বিষয়ে তদন্ত করছি। যেহেতু ধর্ষণের মামলা তাই মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।

উল্লেখ্য, ড. সুজন চৌধুরী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও তার ক্ষমতার কারণে মুখ খুলেনি কোন ভুক্তভোগী। এদিকে গত জুলাই আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরবর্তীতে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বাস দিলেও মিলেনি কোন সমাধান।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

বিতর্কিত যবিপ্রবি শিক্ষক সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ মামলা

প্রকাশিত ১১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকা, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা, জুলাই ছাত্র জনতার অভ্যুথানের বিরোধিতা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে শাস্থি না পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। এছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ করেন।

আবেদনপত্রে তিনি লিখেন, ২০২৪ সালে ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগীর নিজ বাসায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন ড. সুজন চৌধুরী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর সাথে অর্থের বিনিময় করে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আদালতের সরণাপন্ন হতে বলেন। পরে তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন তাল বাহানায় বিষয়াটি এড়িয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এর যথাযথ বিচার চাই।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ঐ নারী। এদিকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করার বিষয়ে ঐ নারীকে প্রশ্ন কারা হলে তিনি বলেন এই অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি যদি তাকে ব্লাকমেইল করে থাকি তাহলে ড. সুজন চৌধুরী সেটা প্রমাণ করুক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসছে। আমি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবো।

মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা এস আই তালেব বলেন, আমি এই মামলার বিষয়ে তদন্ত করছি। যেহেতু ধর্ষণের মামলা তাই মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।

উল্লেখ্য, ড. সুজন চৌধুরী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও তার ক্ষমতার কারণে মুখ খুলেনি কোন ভুক্তভোগী। এদিকে গত জুলাই আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরবর্তীতে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বাস দিলেও মিলেনি কোন সমাধান।