ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অংশীজন অন্তর্ভুক্তিতে সরকারের অনাগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন তামাক শিল্প Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটিতে কবি নজরুল কলেজের উবায়দুল্লাহ, তাজিম Logo শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ক্র্যাবে’র শ্রদ্ধা নিবেদন Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo যথাযথ মর্যাদায় যবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন Logo জাবি রোভার স্কাউটসের সভাপতি খায়রুল, সম্পাদক তাওফিক Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবিতে ছাত্রশক্তির আয়োজনে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন Logo জাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত Logo জাবির নবনির্মিত ছয় আবাসিক হলে গ্যাস সংযোগ উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার হত্যার হুমকি

বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

আল্লাহ তা’আলার ব্যাপারে কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ তুলে বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবিতে ‘বিক্ষোভ মিছিল’ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় বটতলায় ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বাংলা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশগ্রহণ করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে আমরা সকল ধর্মের মানুষেরা সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হলে একটা গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর পায়তারা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার; আবুল সরকারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; আবুল সরকারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; আবুলের বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে” ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এসময় বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদ বলেন, “আল্লাহর শানে যারা বেয়াদবি করে, কটুক্তি করে কখনো তাদের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা। তারা কখনো বাউলের বেশে কখনো শিক্ষকের বেশে আবার কখনো রিকশাওয়ালার বেশে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। আমরা মনে করি, এটা আসলে কাকতালীয় নয় বরং এদের জন্মের সমস্যা আছে।”

তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর শানে বেয়াদবি করলে তৌহিদী জনতা যদি প্রতিবাদ করে তখন তারা বলে আমরা হট্টগোল করি। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা শাপলায় রক্ত দিয়েছি, ২৪-এ রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আরও দেব। তবুও আমার রসূল সাঃ এর শানে, ইসলামের শানে কোন কটুক্তি মেনে নিব না।”

ফার্মেসী বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাকসুর তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসমাম বলেন, ” আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই বাউল গান, পালা গান, সারিগানের মাধ্যমে রসূল সাঃ কে কটুক্তি করা হয়। কিন্তু কখনো এর বিচার করা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি রাখাল রাহা, জাবির তৌওিক নাবিল রসূল সাঃ এর শানে বেয়াদবি করেছিল কিন্তু তাদের বিচার করা হয়নি। আমরা বলতে চাই মৌচাকে ঢিল মারলে মোমাছি কামড় দেবে, তৌহিদী জনতাকে উসকে দেবেন না। আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ করবেন না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবেন না।”

তিনি বলেন, “আমাদের মব এবং ভায়োলেন্স করতে বাধ্য করবেন না। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবেন এটা আমরা মেনে নিব না। অবিলম্বে ব্লাশফেমি আইন প্রনয়ণ করতে হবে এবং বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

জনপ্রিয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অংশীজন অন্তর্ভুক্তিতে সরকারের অনাগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন তামাক শিল্প

বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত ১১:৫৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

আল্লাহ তা’আলার ব্যাপারে কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ তুলে বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবিতে ‘বিক্ষোভ মিছিল’ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় বটতলায় ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বাংলা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশগ্রহণ করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে আমরা সকল ধর্মের মানুষেরা সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হলে একটা গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর পায়তারা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার; আবুল সরকারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; আবুল সরকারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; আবুলের বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে” ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এসময় বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদ বলেন, “আল্লাহর শানে যারা বেয়াদবি করে, কটুক্তি করে কখনো তাদের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা। তারা কখনো বাউলের বেশে কখনো শিক্ষকের বেশে আবার কখনো রিকশাওয়ালার বেশে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। আমরা মনে করি, এটা আসলে কাকতালীয় নয় বরং এদের জন্মের সমস্যা আছে।”

তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর শানে বেয়াদবি করলে তৌহিদী জনতা যদি প্রতিবাদ করে তখন তারা বলে আমরা হট্টগোল করি। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা শাপলায় রক্ত দিয়েছি, ২৪-এ রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আরও দেব। তবুও আমার রসূল সাঃ এর শানে, ইসলামের শানে কোন কটুক্তি মেনে নিব না।”

ফার্মেসী বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাকসুর তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসমাম বলেন, ” আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই বাউল গান, পালা গান, সারিগানের মাধ্যমে রসূল সাঃ কে কটুক্তি করা হয়। কিন্তু কখনো এর বিচার করা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি রাখাল রাহা, জাবির তৌওিক নাবিল রসূল সাঃ এর শানে বেয়াদবি করেছিল কিন্তু তাদের বিচার করা হয়নি। আমরা বলতে চাই মৌচাকে ঢিল মারলে মোমাছি কামড় দেবে, তৌহিদী জনতাকে উসকে দেবেন না। আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ করবেন না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবেন না।”

তিনি বলেন, “আমাদের মব এবং ভায়োলেন্স করতে বাধ্য করবেন না। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবেন এটা আমরা মেনে নিব না। অবিলম্বে ব্লাশফেমি আইন প্রনয়ণ করতে হবে এবং বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”