ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

লাশ পোড়ানো সেই শাহিদুল কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে দুই শতাধিক ছাত্র হত্যার অভিযোগে ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে লাশ পোড়ানোসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে আশুলিয়া ও সাভার থানায়।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ অক্টোবর ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন শাহিদুল। তার সবশেষ কর্মস্থল কক্সবাজার। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তিনি বলেন, শাহিদুলকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাভার অঞ্চলে দুইশতের মতো ছাত্রকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসাদুল ইয়ামিন নামের এক ছাত্রকে হত্যা। তাকে গুলিবিদ্ধ, অচেতন অবস্থায় এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারে।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাভার অঞ্চলে যে শহীদ ও অসংখ্য মানুষকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে, সে সময় শাহিদুল সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের কাছে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

লাশ পোড়ানো সেই শাহিদুল কারাগারে

প্রকাশিত ০৫:০৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে দুই শতাধিক ছাত্র হত্যার অভিযোগে ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে লাশ পোড়ানোসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে আশুলিয়া ও সাভার থানায়।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ অক্টোবর ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন শাহিদুল। তার সবশেষ কর্মস্থল কক্সবাজার। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তিনি বলেন, শাহিদুলকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাভার অঞ্চলে দুইশতের মতো ছাত্রকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসাদুল ইয়ামিন নামের এক ছাত্রকে হত্যা। তাকে গুলিবিদ্ধ, অচেতন অবস্থায় এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারে।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাভার অঞ্চলে যে শহীদ ও অসংখ্য মানুষকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে, সে সময় শাহিদুল সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের কাছে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল।