ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও হামাস, জানালেন ট্রাম্প

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়েই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে ইসরায়েলও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।’

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা (এ যুদ্ধের) মধ্যস্থতাকারীরা এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আজ রাতে গাজায় শান্তি স্থাপনসংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের সব শর্ত ও বিধান বাস্তবায়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের জেরে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে, সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিরা মুক্তি পাবে এবং গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না। চুক্তির বিস্তারিত বিষয়গুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার পাশে ছিলেন।

সেদিন ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং স্থায়ী শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার কপি ইসরায়েল, হামাস এবং যুদ্ধের অপর দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং হামাস ব্যতীত বাকি সবাই তার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে।

পরে ৩ অক্টোবর শুক্রবার হামাস সম্মতি জানানোর পরের দিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন ট্রাম্প। তারপর ৬ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখ- এ ট্রাম্পের প্রস্তাবের ওপর বৈঠক শুরু হয় ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে।

সেই বৈঠকে দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলার পর ট্রাম্পের চুক্তির প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করল ইসরায়েল-হামাস।

বৈঠকের আলোচনা যে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে, তার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে বার্তা পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি যতদূর শুনেছি আলোচনা খুব ভালোর দিকে এগোচ্ছে। এটা চমৎকার। এ সপ্তাহের শেষের দিকে আমি মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারি। সম্ভবত রোববার আমি যাব।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও হামাস, জানালেন ট্রাম্প

প্রকাশিত ১১:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়েই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে ইসরায়েলও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।’

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা (এ যুদ্ধের) মধ্যস্থতাকারীরা এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আজ রাতে গাজায় শান্তি স্থাপনসংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের সব শর্ত ও বিধান বাস্তবায়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের জেরে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে, সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিরা মুক্তি পাবে এবং গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না। চুক্তির বিস্তারিত বিষয়গুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার পাশে ছিলেন।

সেদিন ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং স্থায়ী শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার কপি ইসরায়েল, হামাস এবং যুদ্ধের অপর দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং হামাস ব্যতীত বাকি সবাই তার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে।

পরে ৩ অক্টোবর শুক্রবার হামাস সম্মতি জানানোর পরের দিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন ট্রাম্প। তারপর ৬ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখ- এ ট্রাম্পের প্রস্তাবের ওপর বৈঠক শুরু হয় ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে।

সেই বৈঠকে দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলার পর ট্রাম্পের চুক্তির প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করল ইসরায়েল-হামাস।

বৈঠকের আলোচনা যে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে, তার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে বার্তা পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি যতদূর শুনেছি আলোচনা খুব ভালোর দিকে এগোচ্ছে। এটা চমৎকার। এ সপ্তাহের শেষের দিকে আমি মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারি। সম্ভবত রোববার আমি যাব।