Ovijatra
ঢাকাThursday , 14 August 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও পরিবেশ
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. টপ নিউজ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সবশেষ খবর

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সহপাঠীদের বিরুদ্ধে

Link Copied!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী প্রার্থী অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত আসামী শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ রাফিকে হলের কক্ষ থেকে বের করার চেষ্টা করলে সহপাঠিদের বাধার মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত থাকা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে হেনস্তা করেন অভিযুক্ত রাফির সহপাঠীরা।

বুধবার (১৩ ই আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৯ নং কক্ষে অবস্থানরত রাফিকে কক্ষ থেকে বের করার উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। এই সময় তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রানার কিছু অনুসারী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী রাফির সহপাঠি এবং এক‌ই বিভাগের‌ আল মামুন ফরহাদ, কাবিরুল, আবু তাওহিদ বাধন, তুষার ইমরান, আরেফিন, সীমান্ত বিশ্বাস, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, অজয় বিশ্বাস, অসীম, নাসিম বাহার, আহাদ কাজী, শাহীদুল হক নোমান, আসাদুজ্জামান আশা,  ফয়সাল হাবীব, মোঃ কাবীর, নিপুণ বিশ্বাস, রহমত, শফিকুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি হলের একটি দেয়ালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের স্লোগান লেখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে চলা ছাত্রলীগের পেজ থেকে অস্ত্রের ভিডিও করে হুমকি দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্লোগান দিয়ে পেজে আপলোড দেওয়া, সাংবাদিকদের হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নজরে আসে শিক্ষার্থীদের। পরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করা ছাত্রলীগ কর্মীকে বের করতে যান জুলাই আন্দোলন সক্রিয় অন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ও ঘটে। এই সময় দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারীরা।তবে, ঐ সাংবাদিক তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে তাকে হেনস্তা করেন তারা।

এ ঘটনাকে ছাত্রলীগ কর্মীদের শেল্টার দেওয়া উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই বিপ্লব মঞ্চের সভাপতি মো. তপু ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ “জয় বাংলা” স্লোগান লিখেছে। আজকে তারা লিখছে আগামীকালকে তারা রাস্তা ব্লক করে স্লোগান দিবে এবং ক্যাম্পাসের গেইট আটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হবে কিন্তু আমরা তো এটা হতে দিতে পারি না। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তারা তাদের কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে তাদেরকে রুখে দেয়ার জন্য আমরা জুলাই বিপ্লব মঞ্চ সংগঠনটি তৈরি করেছি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়ার চেষ্টা করছে, আজকে অভিযুক্ত রাফিকে হল থেকে বের করতে আসলে তার সহপাঠীরা তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে , এমনকি আমাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি ও করে তাদেরকে রক্ষা করে। কেউ নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে আসলে আমরা তাদেরকে রুখে দিবো। আমাদের ভাইদের রক্তে অর্জিত জুলাইকে আমরা যে কোন মুল্যে রক্ষা করবো। আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মূলা ঝুলানো বক্তব্য না দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন৷

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এ.এম. ফরহাদ বলেন, আজ যে ঘটনা হয়ছে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ওই রুমে রাফি বাদেও পিইএসএস বিভাগের এর অন্য শিক্ষার্থীরাও ছিল। যে কারণে বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীরা যায় এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলে যে এই রুমে অন্য শিক্ষার্থীরা আছে সুতরাং আপনারা প্রশাসনকে ডাকেন এবং তাদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করেন আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু তারা কোনো কথা শুনতে রাজি হয় না। বরং বলে আমরা তাকে শেল্টার দিচ্ছি। এই ভাবেই উস্কানিমূলক কথার পর্যায়ে একটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

হেনস্তার শিকার হওয়া দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, আমি ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর সহপাঠীরা আমাকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করে। তখন আমি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে হেনস্তা করেন।

এই বিষয়ে ,যবিপ্রবি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. মজনুজ্জামান বলেন গতকাল কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী হলের কিছু জায়গায় জয়-বাংলা…., ইউনূস হটাও…. ইত্যাদি স্লোগান লিখে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করে। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা এক ছাত্রলীগ কর্মীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। জানা যায় শনাক্তকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অতীতে ছাত্রলীগের সাথে মিশে চাকুরী প্রার্থী অপহরণ সহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিতে তার রুমে যায়। সেখানে থাকা কয়েকজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকর্মীর পক্ষে সহবস্থান নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে হট্টগোল শুরু হয়। এটা শুনে আমি এবং প্রক্টর স্যার সেখানে ছুটে যাই। পরবর্তীতে তাদের সাথে আলোচনা করে অভিযোগের প্রমাণের প্রেক্ষিতে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।